বামনা প্রতিবেদক ॥ বরগুনার বামনা উপজেলার কালিকাবাড়ী গ্রামে মৃত ছাদের আলী মোল্লা কণ্যা মাছুমা বেগম (৩৮) প্রতিবন্ধী পাগল নারীকে ধর্ষণ করে অন্তঃস্বত্তা করল একই গ্রামের মোঃ হাশেম মল্লিক (৬৫)। রোববার রাত ১২ টায় তাকে গ্রেপ্তার করেছে বামনা থানা পুলিশ। এ বিষয়ে এলাকার লোকজন জানায়, মাছুমা বেগম একজন প্রতিবন্ধী পাগল। সারাদিন এলাকার বিভিন্ন জায়গায়, হাট-বাজারে ঘুরে ভিক্ষাবৃত্তি করে। তার এই প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে তাকে কালিকা বাড়ী গ্রামে মোঃ জালাল জোর পূর্বক ধর্ষণ করে একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেয় মাছুমা। এ থেকে এলাকা ছাড়া হয় জালাল। এলাকার লোকজন চাঁদা আদায় করে ঐ শিশুটিকে বাঁচায়। যখন এলাকার মানুষ মাছুমা ও তার ছেলেটির কথা ভেবে কালিকাবাড়ী গ্রামে হাশেম মল্লিকের একটি পরিত্যাক্ত কাঠের ঘরে থাকতে দেয় হাশেম মল্লিক-তার লালসার স্বীকার হয় মাছুমা। আমরা জানতে পারি যে, হাশেম মল্লিকের পুত্রবধূ হাসিনা বেগম শ্বশুর হাশেম মল্লিকের অবৈধ যাতায়াতের কথা দেখতে পায়, এতে পুত্রবধূর সন্দেহ হয়, সন্দেহের একপর্যায়ে প্রতিবন্ধী মাছুমাকে আমুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এ নিয়ে গিয়ে গর্ভপাত করানোর চেষ্টা চালায়। কিন্তু নিহতির নির্মম পরিহাস তা তারা করতে সক্ষম হয়নি।
এ বিষয়ে ভিকটিম মাছুমা জানায়, আমি হাশেম মল্লিক-এর একটি পরিত্যাক্ত কাঠের ঘরে আমার এই ছেলেটি নিয়ে থাকতাম। সে প্রায় সময়ই সন্ধ্যার পরে তার বাগানের পিছনে ছাগলের জন্য কাঠাল পাতা পারতে আসত। এ সময়ে সে ঘরের মধ্যে ঢুকে আমাকে চেপে ধরে, অনেক সময় সে আমার ছেলেকে বাতাম দিয়ে আমার সাথে কাজ করত। আমাকে ধর্ষণ ও অন্তঃসত্ত্বা করেছে হাশেম মল্লিক, আমি কি এর বিচার পামুনা, আমি পথে পথে ঘুরে ভিক্ষা করি। হাশেম মল্লিকের পুত্রবধূরা এসে আমাকে ঘর থেকে বেড় করে দেয়, ঘরের মধ্যে আমার কম্বল, খাতা আছে আমি কোথায় ছেলেরে নিয়া ঘুমাব, আমার পেটের সন্তান কি বিচার পাবে না। এই বলে কাঁদতে থাকে প্রতিবন্ধী মাছুমা। এ বিষয়ে বামনা থানার অফিসার ইন চার্জ ইলিয়াস তালুকদার জানান, ভিকটিমের ভাই ফারুক মোল্লা বাদী হয়ে বামনা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে, মামলা নং-১০/২০২০ আসামীকে আমি রাতেই গ্রেপ্তার করে বামনা থানায় এনেছি এবং ভিকটিম প্রতিবন্ধী মাছুমাকে বামনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এ ভর্তি করা হয়েছে। আসামীকে বরগুনা বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হবে।
Leave a Reply